Under Construction
You can read in English
ঘাটাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ছোট্ট একটি শহর ।ঘাটালবাসীর কাছে এটা একটা শহর না অনুভূতি, ভালোবাসা, আবেগ যেন একজন মনের মানুষ।অনেক ।
শিলাবতী নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই শহর প্রাচীনকাল থেকেই ওলন্দাজের আমলে তাঁত ও রেশম শিল্পে উন্নত। তারপরে ইংরেজরা এসে তা দখল নিয়ে বানায় নীল কুঠির আর রমরমিয়ে চলতে থাকে নীল ব্যবসা। আদি কাল থেকেই ঘাটাল ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নত থাকায় শিলাবতী নদীর জলপথই ছিল সুলভ পরিবহন মাধ্যম, তাই শিলাবতীর তীরেই গড়ে ওঠে অসংখ্য ঘাট। মনে করা হয় সেই ঘাট থেকেই সম্ভবতঃ ঘাটালের নামকরণ। এই শহরের কনায় কনায় ও শহরের চারপাশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন, তার ই একটি ঘাটালের ভাসাপুল।
১৮৫০ সালে ইংরেজ ব্যবসায়ী মিঃ ওয়াটসন্ পুলটি নির্মাণ করেন। কতকগুলি নৌকার ওপর কাঠের পাটাতন বিছিয়ে অসাধারণ সমন্বয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় ভাসাপুল। নৌকাগুলি সম্পূর্ণ ভাসমান অবস্থায় আছে বলেই এর নাম ভাসাপুল ।
এটি নৌকার ওপর থাকার ফলে নদীতে জল বাড়ার সাথে সাথে পুলটিও উঠতে থাকে ও জল কমে গেলে পুলটিও নেমে যায়। (একটি বেশ মজার বিষয়)
যদিও সাহেবরা এটা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করেন। মিঃ ওয়াটসন্ সাহেবের বৃহত্তম রেশম কুটির ছিল নদীর এক পাড়ে আর সাহেবরা থাকতেন নদীর অন্য পাড়ে। তাই নদী পারাপারের সুবিধার জন্য তৈরি হয় ভাসাপুল। ওই কুঠির চারপাশে গড়ে ওঠে একাধিক বানিজ্যকেন্দ্র যা আজ কুঠি বাজার।
এছাড়া শুধুমাত্র বিদ্যাসাগর এই পুলটি ব্যবহার করতেন। পরে ১৯০৪ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর বেঙ্গল ফেরি অ্যাক্ট অনুযায়ী ভাসাপুল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ভাসাপুল ঘাটালের অতি আশ্চর্য একটি দর্শনীয় স্থান। ঘাটাল সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের অনতি দূরেই অবস্থিত ভাসাপুল।
বাংলা যাঁর নামে আলোকিত সেই ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় জন্মগ্রহণ করেন এই ঘাটালেরই বীরসিংহ গ্রামে।এইখানে এখনো বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বসতবাড়ি ও তাঁর ব্যবহৃত বহু জিনিসপত্র সংরক্ষিত আছে।
ঘাটাল থেকে ক্ষীরপাই যাওয়ার পথে সিংডাঙ্গা নামক বাসস্টপে নেমে ছোট গাড়ি ধরে ৫ কিলোমিটার গেইলেই বীরসিংহ গ্রাম। এখানে বিদ্যাসাগরের মায়ের নামে অবস্থিত ভগবতী বিদ্যালয়টিও অবস্থিত।
ইংরেজ দের সময় যখন ঘাটালে নীলবানিজ্য শুরু হয় তখন একাধিক নীল কুঠির ও চিমনি তৈরি হয়। সেইরকমই একটি চিমনির ধ্বংসাবশেষ এখনো শিলাবতী নদীর তীরে।
চিমনিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুট। সম্ভবতঃ ১৯০০ সালের কাছাকাছি এটি তৈরি হয়। ঘাটাল সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩ কিলোমিটার রাস্তা। যেকোনো ছোট গাড়িতে যাওয়া যায়।
ঘাটাল সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে নীলকঠির চিমনি দেখতে যাওয়ার পথে দেড় কিলোমিটার দূরে পথের বাঁমদিকেই আছে ঘাটালের খুব সুন্দর একটি দর্শনীয় স্থান অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম আর ডানদিকে শিশু উদ্যান।
১৯৭৪ সালে আশ্রমটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন সকাল ৫ টায় ও বিকেল ৫ টায় প্রার্থনা হয়। যদিও শীত ও গ্রীষ্ম অনুযায়ী সময়ের সামান্য পার্থক্য হয়। আদি কালে সূর্যের স্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে একটি দণ্ডের ছায়ার দৈর্ঘ্যকে দেখে সময় নির্ধারণ করা হতো যা সূর্য ঘড়ি নামে প্রচলিত। ১৮১৭ সালে এই রকমই একটি প্রাচীন ঘড়ি এখনো অবস্থিত ঘাটালের খাঞ্ছামনোহরপুর হাইস্কুলের কাছাকাছি।এই গ্রামের এক স্বনামখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত কুমার পাল এই ঘড়িটি নির্মাণ করেন। এই ঘড়ি টিতে এখানে সকাল ৫:৪০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:২০ মিনিট পর্যন্ত সময় দেখা যায়।
ঘাটাল পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড(ঘাটাল কলেজে মোর) থেকে রানিচকের রাস্তায় যে কোনো ছোট গাড়িতে খাঞ্ছামনোহরপুর হাইস্কুল যাওয়া যায়।এই গ্রামের এক স্বনামখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত কুমার পাল এই ঘড়িটি নির্মাণ করেন। এই ঘড়ি টিতে এখানে সকাল ৫:৪০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:২০ মিনিট পর্যন্ত সময় দেখা যায়। ঘাটাল পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড(ঘাটাল কলেজে মোর) থেকে রানিচকের রাস্তায় যে কোনো ছোট গাড়িতে খাঞ্ছামনোহরপুর হাইস্কুল যাওয়া যায়।
ঘাটাল পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড(ঘাটাল কলেজে মোর) থেকে রানিচকের রাস্তায় যে কোনো ছোট গাড়িতে খাঞ্ছামনোহরপুর হাইস্কুল যাওয়া যায়।এই গ্রামের এক স্বনামখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত কুমার পাল এই ঘড়িটি নির্মাণ করেন। এই ঘড়ি টিতে এখানে সকাল ৫:৪০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:২০ মিনিট পর্যন্ত সময় দেখা যায়। ঘাটাল পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড(ঘাটাল কলেজে মোর) থেকে রানিচকের রাস্তায় যে কোনো ছোট গাড়িতে খাঞ্ছামনোহরপুর হাইস্কুল যাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment
If you have any question let me ask